ড্যান্স গ্রুপের আড়ালে ব্লাকমেইল করে যুবতীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা

জয়পুরহাটে ড্যান্স গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের আড়ালে দরিদ্র ও অসহায় যুবতীদের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করা সহ প্রতারণার অভিযোগে স্থানীয় মর্ডান ড্যান্স গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সহ ২ যুবতীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব এবং জিম্মি করা ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহরের জামালগঞ্জ রোড প্রফেসরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মর্ডান ড্যান্স গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শহরের গুলশানমোড় এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে সুমন আহম্মদ (২৯), তার স্ত্রী মোসাঃ মৌসুমী আক্তার (২০) ও তাঁতীপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী মিনু আক্তার (১৯)।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত প্রতারক ও ব্লাকমেইলার শহরের প্রফেসরপাড়া এলাকায় মর্ডান ড্যান্স গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে দরিদ্র ও অসহায় যুবতীদের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করে। জয়পুরহাট সহ আশপাশ এলাকার কলেজ ছাত্রীদের মধ্যে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক বজায় রাখে এবং যে সকল তরুণী কোনও ধরনের সামাজিক ও আর্থিক সমস্যায় পড়ে তখন তারা তাদের বিভিন্নভাবে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। লুকানো ক্যামেরা স্ট্যান্ড দিয়ে ভিডিও

তৈরি করতে মেয়েদের ব্যবহার করে ভিডিও গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার কথা বলে ভয় দেখিয়ে যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে একজন পুরুষ ও তিনজন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি মোহাইমেনুর রশিদ জানান, অভিযানে লুকানো ভিডিও তৈরির জন্য ক্যামেরা স্ট্যান্ড, কালো মুখোশ, কনডম, যৌন উত্তেজক সিরাপের বোতল, পেনড্রাইভ, মেমোরী, ব্লাকমেইলিং নগদ অর্থ জব্দ করে জিম্মি করে রাখা ৪ জনকে উদ্ধার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।