ট্রাম্পের আরো এক মন্ত্রীর পদত্যাগ

ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক কর্মকর্তা পদত্যাগ করছেন। সম্প্রতি দেশটির জাতীয় পরমাণু নিরাপত্তা প্রশাসনের (এনএনএসএ) প্রধান এবং পরমাণু জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী লিসা গর্ডন হ্যাজারটি পদত্যাগ করেছেন।

ট্রাম্পের ভোটে হেরে যাওয়ার আভাস এবং তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে নির্বাচনী প্রচারণা শিবির ও হোয়াইট হাউসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সরে যাচ্ছেন বলে হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন।

শুক্রবার মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে লিসার পদত্যাগের কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লিসা গর্ডন পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং এর পরপরই তা কার্যকর করা হয়। এরইমধ্যে সংস্থার উপপ্রধান উইলিয়াম বুকলেসকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উইলিয়াম বুকলেস গত দেড় বছর ধরে এ সংস্থার উপ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

লিসার পদত্যাগের পর মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লিসা এনএনএসএ’র অবকাঠামোকে আধুনিকায়ন এবং বিশ্বমানের শক্তিশালী কর্মীবাহিনী তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি এনএনএসএ’র প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড এবং সংস্থায় কর্মরত ৫০ হাজার কর্মী বাহিনীর কাজের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন।এনএনএসএ হচ্ছে আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা যা মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কাজ করে। এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থা মার্কিন পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে থাকে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বা এনপিটি বাস্তবায়নের দায়িত্বও তারাই পালন করে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন সিনেট লিসা গর্ডন হ্যাজারটির নিয়োগ চুড়ান্ত করে। তিনিই এ সংস্থার প্রথম নারী প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের জন্য পথ সহজ করে দেন। তবে এসপারের বিষয়ে জল্পনা ছিল যে, নির্বাচনের পর ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এসপার আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এর আগের মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেন। এছাড়া, মার্কিন প্রশাসনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরো অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন কিংবা তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাম্পের আমলে যত মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বহিষ্কার অথবা পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে আমেরিকার ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।