জাদেজার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

বড় ধরনের ইনজুরি থেকে ফিরেও অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। নাগপুরে বোর্ডার-গাভস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে তার হাতেই উঠেছিল ম্যাচসেরার পুরস্কার।এবার দ্বিতীয় টেস্টেও স্পিন জাদু দেখালেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারটা লিখেছেন নতুন করে। তৃতীয় দিনের সকাল থেকেই দিল্লির উইকেটে বড় বড় ‘ক্র্যাক’ দেখা যাচ্ছিল। সেই ফাঁদে পড়ে রীতিমত বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে সুইপ করতে গিয়ে আরও বিপদ ডেকে আনে। ১ উইকেটে ৬১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে গুটিয়ে যায় ১১৩ রানেই। সেটাও প্রথম

সেশনেই। ১১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লাঞ্চের আগপর্যন্ত ১ উইকেটে ১৪ রান করে ভারত।এর আগে জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অজিরা। ৪২ রান খরচে একাই ৭ উইকেট নেন জাদেজা। তার আগের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার ৪৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।আজ সকালে প্রথম আঘাতটা করেন অশ্বিন। আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা ট্রাভিস হেডকে ফেরান ব্যক্তিগত ৪৩ রানে। সফরকারীদের সবচেয়ে বড় তারকা স্টিভেন স্মিথকেও থিতু হতে দেননি ডানহাতি এই স্পিনার। সুইপ

করতে গিয়ে বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি স্মিথ। উল্টো বল তার প্যাডে আঘাত হানে। অশ্বিনের এলবিডব্লিউর আবেদনে দ্রুতই সাড়া দেন আম্পায়ার।বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন এবারও নিষ্প্রভ। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৩ উইকেটে ৯৫ থেকে মুহূর্তের মধ্যেই ৭ উইকেটে ৯৫’তে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। ২৩ তম ওভারের শেষ বলে ম্যাট রেনশকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অশ্বিন। ২৪ তম ওভারের প্রথম দুই বলে পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে দলীয় হ্যাটট্রিকের জন্ম দেন জাদেজা। এরপর

বাকি তিন ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি, ন্যাথান লায়ন ও ম্যাথু কুনেমানকে দ্রুতই সাজঘরের পথ দেখান বাঁহাতি এই স্পিনার।জাদেজার সাত উইকেটের মধ্যে পাঁচটিই ছিল বোল্ড। ২০ বছর আগে সবশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতার। লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল ১১ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যার পাঁচটিই ছিল বোল্ড। এদিকে দিল্লি টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে অক্ষর প্যাটেলের ফিফটিতে ২৬২ রান পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। কোনো অঘটন না ঘটলে আজই জয়ের মুখ দেখতে যাচ্ছে তারা।