ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাব নেই নিত্যপণ্যে

বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে কোনো সবজির দামই কমেনি। আগের মতোই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে মোটা চাল, পেঁয়াজ ও চিনির দামও চড়া। অপরিবর্তিত রয়েছে বয়লার, কক, সোনালী মুরগি, মাছ ও মাংসের দাম। এদিকে আবার ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র হাতছানি। সব মিলিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশংকা। যদিও এখনো এর প্রভাব পড়েনি বাজারে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশে টানা বৃষ্টি হয় তাহলে পণ্যের সংকট হবে। এতে আরেক দফা দাম বাড়তে পারে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও, মুগদা, বাসাবো, দক্ষিণ কমলাপুর ও গুপিবাগ-মানিকনগর এলাকার বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়,

বেগুন ৪০-৫৫ টাকা, কচুর মুখি ৭০, টমেটো ১৪০, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, চিচিংগা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০, ফুলকপি ২০-২৫, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, শসা ৬০, লতি ৭০-৮০, কাঁচা মরিচ ৮০, আলু ২৮-৩০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা এবং পেঁপে ২৫-৩০ টাকা।এছাড়া লাউ শাক ৩০-৪০, পুইশাক ৩০-৩৫, মুলা, লাল ও কলমি শাক ১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আগের চড়া দামেই বিক্রি চলছে মোটা চাল, পেঁয়াজ ও চিনি। বাজারে মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫৬-৫৮ টাকা। একইদামে বিক্রি হচ্ছে পাইজাম, যা প্রতিকেজি ৫৬-৫৮ টাকার মধ্যে। পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।দক্ষিণ কমলাপুরের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন জানান, আজ ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

তবে বাজারে পণ্য আগেই এসেছে এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বোঝা যাচ্ছে না।খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন বলেন, সাধারণত দেশে টানা বৃষ্টি হলে নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। বৃষ্টি হলে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয় আবার মাল আসতে পারে না, এতে বেড়ে যায় দাম।