গায়ে হাত তুলতেন রাজ, ছেলের মঙ্গলের জন্য ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত পরীমণির

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও নায়ক শরিফুল রাজের সুখের সংসারে বইছে ঝড়। শুক্রবার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে পরীমণি নিজেই এই ঝড়ের আভাস দেন।পরদিন (শনিবার) রাতে নিজেদের মধ্যে মান-অভিমান ভুলে আবারও এক হন তারা। তবে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে নায়িকার পোস্ট করা রক্ত ঝরার দুটি ছবি থেকেই

বোঝা যায় সম্পর্কটা জোড়া লাগেনি। বরং দুজনের পথ আরও দূরে সরে গেছে।এবার আর কোনো ইশারা বা আভাস নয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিস্তারিত জানালেন সংসার ভাঙার বিষয়টি। পরীমণি সেখানে রাজের বিরুদ্ধে বারবার গায়ে হাত তোলার অভিযোগ আনেন।রোববার বিকেল ৪টা ৫০মিনিটে পরী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই স্ট্যাটাস

দেন।পরীমনির স্ট্যাটাসটির পুরোটা তুলে দেয়া হলো পাঠকদের জন্য-একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনই।আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটিবার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নিই এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল।

আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম।

রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তনই না, আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি।তবে আমার ওপর তার আর তার পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন, আপনারা নিশ্চয়ই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিকভাবেও আমি বিধ্বস্ত।রাজ্য তার বাবা-মাকে একসঙ্গে নিয়ে বড় হতে পারল না, এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে……