খুশদিল-রাসেলের শেষের ঝড়ে টানা আট জয় কুমিল্লার

ঢাকা: শুরুতে ফরচুন বরিশাল বড় সংগ্রহ করতে না পারলেও বোলিংয়ে ছিল নিয়ন্ত্রিত। তুলে নিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাঁচ উইকেট।কিন্তু শেষদিকে ঝড় তোলেন খুশদিল শাহ ও আন্দ্রে রাসেল। তাদের মারকাটারিতে কুমিল্লা পায় টানা আট জয়।মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা।টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৮ রান যোগ করতেই বরিশালের

দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ফজলে রাব্বি সাজঘরে ফেরেন। এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। কিন্তু তাদের চেষ্টায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মুকিদুল ইসলাম। দারুণ এক স্লোয়ারে ইনসাইড এজে সাকিবকে বোল্ড করেন এই পেসার। এরপর ৫৩ রানে ইফতিখারকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন আন্দ্রে রাসেল। এর এক রান পর মুকিদুলের ওভারে ইনসাইড এজে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ।২৬ বলে ৩৬ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ৫ ব্যাটার বিদায় নিলেও দলের বিপদে হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও করিম জানাত। দুজন মিলে পার

করেন দলের শতরান। পরে তাদের ৪৭ রানের জুটি ছাড়ান মোস্তাফিজ। ১৭ রানে ফেরেন মিরাজ।এরপর বোলিংয়ে এসে করিম জানাত ও মোহাম্মদ ওয়াসিমকে আউট করেন মুকিদুল। ১৯তম ওভারে খালেদ রান আউট হলে ১২০ রানের আগেই অল আউটের শঙ্কা জাগে বরিশালের। শেষ ওভারে এসে প্রথম বলেই চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে আউট করে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেওয়ার সঙ্গে ১২১ রানে বরিশালকে থামিয়ে দেন মুকিদুল। ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।জয়ের জন্য কুমিল্লাকে ১২২ রানের লক্ষ্য দেয় বরিশাল। সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে

১৬ রান তুলতেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারিয়ে বসে কুমিল্লা। ৬ বলে ১১ রান করে এই পাকিস্তানি বিদায় নিলে হাল ধরেন লিটন দাস ও জাকের আলী।দুজন মিলে দলের পাওয়ার-প্লে শেষ করেন। তবে ৬ ওভার পরই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। দলীয় ৪১ রানে সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন জাকের। তিনি ১০ রানে ফেরার খানিক পরই বিদায় নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। পরের ওভারেই এক রানে আউট হন মোসাদ্দেকও।দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। দলকে চাপমুক্ত করতে গিয়ে ভুল শটে উইকেট ছুঁড়ে দেন লিটনও। ৩৯ বলে

৩৬ রান করে ইবাদত হোসেনের বলে আউট হন এই ওপেনার। ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারালেও খুশদিল শাহ ও আন্দ্রে রাসেল মিলে দলকে একশর ওপর নিয়ে যান।১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে ছক্কা খেয়ে বসেন সাকিব। পরের বলে সাকিবকে আরও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান রাসেল। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১২ বলে কুমিল্লার জয়ের ব্যবধান ৬ রানে নিয়ে আসেন খুশদিল।১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মুস্তাফিজকে ছক্কা হাঁকিয়ে কুমিল্লার টানা অষ্টম জয় নিশ্চিত করেন রাসেল। অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ৩০ রানে। খুশদিল করেন ১৯ বলে ২৩ রান। এবাদত নেন ১৮ রানে ২ উইকেট।