খালা তিনবার একতারা চাপ দিছে, প্রতিবারই নৌকা উঠেছে: হিরো আলম

এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়ায় উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে ফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

হিরো আলমের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ সকালে তিনি ফোনে এ নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘যেহেতু হিরো আলম ফলাফল নিয়ে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং টিভি-টকশোতেও একই অভিযোগ করেছেন, সেটা দেখে সিইসি স্যার আমাকে ফলাফল পুনরায় যাচাইয়ের জন্য আজ সকালে ফোনে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ফলাফলের সব কপি ঢাকায় পাঠাতে বলেন। পরে আমরা ফলাফল আবার যাচাই করে দেখেছি সব ঠিক আছে। আজ হিরো আলম বিকেল ৩টায় আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমরা তাকে ইভিএম মেশিনের ফলাফলের কপি এবং কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সই করা ফলাফলের কপি দিয়েছি’, যোগ করেন এ নির্বাচন কর্মকর্তা।

হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে রিট করবো। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। একশ্রেণির মানুষ আমাকে ‘স্যার’ ডাকতে চায় না। তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে আর সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতি থাকলে আমি আর নির্বাচন করবো না। আমার খালা গতকাল এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছিলেন। খালা তিনবার একতারা চাপ দিছেন তবে প্রতিবারই শুধু নৌকা উঠেছে।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে পাঁচশ ভোট পড়েছে। সেখানে একেকজন ৭০ থেকে ৮০টি ভোট পেয়েছেন। সেই হিসাবে আমরা ছয়জন নির্বাচন করেছি, তাহলে তো ৬০০ থেকে ৭০০ ভোট পড়ার কথা। তাহলে কি আমরা ১০-২০টা ভোট পেয়েছি? আর মশাল প্রতীক একাই বাকি ভোট পেয়েছে?’