ক্লাস ফোরের ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ৫৭-র শিক্ষকের!

নদিয়াতে ক্লাস ফোরের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এক শিক্ষক। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। নিজ মুখে যাবতীয় অভিযোগ স্বীকার ওই শিক্ষকের।একদিকে মহার্ঘ্যভাতা বা ডিএ-র দাবি আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদর চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে তখনই নদিয়া জেলার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন স্কুলে না এসে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় নদিয়ার গাংনাপুরের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

স্কুলে না এসেই প্রত্যেক মাসের নির্দিষ্ট দিনে বেতন পাচ্ছেন ওই শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ। চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম পরিমল কুমার বাইন। স্কুলে না এসে রানাঘাট-১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে হাজিরা দিয়ে বেতন পাচ্ছেন ওই শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।

চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে ৮১ জন পড়ুয়া রয়েছে। ২০১৩ সালে অন্য স্কুল থেকে বদলি হয়ে ওই স্কুলে যোগ দেন পরিমল কুমার বাইন নামে ওই শিক্ষক। এই স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন এই শিক্ষক। স্কুলে শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী সকলেরই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে।বদলি হয়ে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসার পর স্কুলের অন্যান্য সহকারী শিক্ষক ও মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহারের অভিযোগে তাঁকে ২০১৯ সালে সরিষাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে তিনি আবারও আগের বিদ্যালয়ে ফেরেন।

এই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৭ বছর বয়সী এই শিক্ষক স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে ফোনে তাঁর অভিভাবকদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের জুন মাসে এই ঘটনাটি ঘটে। এরপর থেকে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা তাঁর উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ।বিষয়টি নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত বাগচি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ইংরেজি বছরের জুলাই মাসের ৯ তারিখ অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়া হয়। তাকে অন্য কোনও বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়নি। তবে এখনও তিনি প্রতিদিন পরিদর্শক অফিসে হাজিরা দেন বলে অভিযোগ।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত বাগচি বলেন, “ওনার বিরুদ্ধে সবাই অভিযোগ করেছেন। বেশ কিছু অশালীন আচরণের জন্য ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। স্কুল থেকে বদলি হয়ে তিনি আবার ফিরে এসেছিলেন। স্কুলের একটি ছাত্রীর অভিভাবককে ফোনে কুপ্রস্তাব দেন। উনি সুস্থ মানসিকতায় এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মনে হয় না।”অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক পরিমল কুমার বাইন, “আমি মেয়েটির মাকে ফোনে বলেছিলাম যে আপনার মেয়েকে আমার পছন্দ, তাই বিয়ে যদি দেওয়া যায় দেখুন। আমি স্কুলে যেতে চাই, বসে বসে বেতন নিতে চাই না। কিন্তু আমাকে স্কুলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।”-এই সময়