কোহলি বিরাট প্রতারক! ভারতীয় মিডিয়াতে বিতর্ক (ভিডিও)

আইসিসির আইন অনুযায়ী, কোনো ফিল্ডার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ভিন্নমুখী করা বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে, তা অন্যায় হবে। শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে ৫ রান যোগ হয় এবং বলটিকে ঘোষণা করা হয় ‘ডেড’। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচে আইনটি কার্যকর হয়নি। তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

বুধবার (২ নভেম্বর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে ওই ম্যাচে কপাল পোড়ে বাংলাদেশের। তবে ম্যাচ শেষে হঠাৎ আলোচনায় আসে ফেইক ফিল্ডিং। তাও আবার বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে। এমনকি ভিডিও ফুটেজেও প্রমাণ মিলেছে ওই ঘটনার। তবে আম্পায়ারদ্বয় কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে ৫ রান বঞ্চিত হয়েছে সাকিবরা।

এদিকে এই ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যম এবং গণমাধ্যমজুড়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। সেই বিতর্কের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। সেখানকার গণমাধ্যমে চলছে এই প্রতারণামূলক ফিল্ডিংয়ের ময়নাতদন্ত।

ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটা? বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে ঘটেছে এই ঘটনা। অক্ষর প্যাটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। আরশদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। যদিও বল তার হাতে ছিল না। মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি।

আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাঠের দুই আম্পায়ার মনে করেননি, কোহলি কোনও অপরাধ করেছেন। তাই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।এনিয়ে ভারতের জিনিউজ লিখেছে, ‘কোহলি নাকি ‘বিরাট’ প্রতারক! যে কারণে মারাত্মক অভিযোগ আনল বাংলাদেশ!’