এবার পাকিস্তান থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের দাবি

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-কে নিয়ে ফ্রান্সে অবমাননাকর কার্টুন ছাপানোর প্রতিবাদে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে পাকিস্তানে। বাকস্বাধীনতার নামে এই জঘন্য অবমাননাকর কার্টুন ছাপানোকে পাকিস্তানের জনগণ মুসলিমবিদ্বেষ বলে মনে করছেন।

গত মাসে ফ্রান্সের ম্যাগাজিন শার্লি হেব্দোতে সম্প্রতি মহানবী মুহাম্মদকে (স.) অসম্মান করে কার্টুন ছাপা হয়। সেই কার্টুন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শেখাতে প্রদর্শন করেন দেশটির এক শিক্ষক। পরে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় ভবনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সেই কার্টুন প্রদর্শন করা হয়।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এ প্রদর্শনী বন্ধ করবেন না। কার্টুন প্রকাশ ও প্রদর্শনী বন্ধকে স্বাধীন মত প্রকাশের উপর আঘাত বলে আখ্যা দেন তিনি। একইসঙ্গে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় কঠোর আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।এরপরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুসলিম বিশ্বে। প্রিয়নবীকে অপমানের জবাবে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ে ফ্রান্স বয়কটের ডাক।

এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের জনগণ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে যে, ইসলামাবাদ থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত যত দ্রুত সম্ভব বহিষ্কার এবং ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।পাশাপাশি তারা ফ্রান্সের সব ধরনের পণ্য বয়কট করার আহবান জানিয়েছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ থেকে একটি বিক্ষোভ সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যদিও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনকে ইসলামভীতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করে বক্তব্য রেখেছেন তবে তাকে পাকিস্তানের জনগণ যথেষ্ট মনে করছেন না। তারা বলছেন, পাকিস্তানে ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে।পাকিস্তানের জনগণ বিশ্বাস করে যে, ফ্রান্স যে অবস্থান নিয়েছেন সেটি রাজনৈতিক এবং ইউরোপের দেশগুলোতে যে দ্রুতগতিতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ভীত হয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন এমন বক্তব্য দিয়েছেন।