এক মেয়েকে সেনা পরিচয়ে বিয়ে, অন্য নারীকে খালা ডেকে সর্বনাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মনির মিয়া (৩০) নামে এক ভুয়া সেনাসদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ মে) বিকেলে নবীনগর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ। মনির নেত্রকোনা জেলা সদরের নাগড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।তিনি জানান,

মনির সেনাসদস্য না হয়েও ভুয়া পরিচয় দিয়ে নবীনগরের এক মেয়েকে বিয়ে করে। তার স্ত্রীর পরিবার বিয়ের পরে বুঝতে পারে সে প্রতারণা করে বিয়ে করেছে। এর মধ্যে সেনাসদস্য পরিচয়ে নবীনগরের আরেক নারীকে খালা ডেকে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরে বুধবার দুপুরে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল

ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় মনির।ওসি আরো জানান, বিকেলে সেনা সদস্যদের মতো করে চুল কেটে এবং সেনাবাহিনীর লোগো সংবলিত গেঞ্জি পরে নবীনগর বাজারে ঘোরাফেরা করছিল মনির। পরে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়।এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন= ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। সাথে দেওয়া হয় অর্থদণ্ডও। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। একইসঙ্গে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ বছর করেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামীদের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ২০১৮ সাল থেকে কারাবাসে আছেন তিনি। দীর্ঘ ৪ বছরের বেশি সময় ধরে দলীয় প্রধান কারাবন্দি থাকার পরও আন্দোলন করে সরকারকে চাপে ফেলতে বার্থ হয় দলটি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম থেকে অংশগ্রহণ করবে না জানালেও ঐক্যফ্রন্ট নামের একটি জোট থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসে প্রধান বিরধীদল বিএনপি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৭ আসন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল বয়কট করে ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরীক দল বিএনপি শপথগ্রহণ না করার সিধান্ত নেয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নিলেও ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির বাকি সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। দলের হাইকমান্ড শপথগ্রহণ না করার সিধান্ত নিলেও নেতারা তা না মানায় চরম সমালোচনার মুখে পড়ে দলটি। এ সময় ঐক্যফন্টের নেতারা বলেন আমরা যদি সংসদে না যায় তাহলে কিভাবে দেশের মানুষের কথা বলবো। আমরা জনগনের জন্য সংসদে যাচ্ছি। এমন বক্তব্যে সহমত পোষণ করে শপথ নেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও।

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা দলটি ভিন্ন ভিন্ন ইসুতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচী দিলেও কার্যত সরকারী দলকে চাপে ফেলতে পারেনি। বার বার আন্দোলনের আভ্যাস দিয়েও মাঠে নামতে না পারা দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী কর্মসূচী দিচ্ছে। ইতিমধ্যে দলের হাইকমান্ড জানিয়েছে, এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে আসবে না বিএনপি। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনেও দলীয় ভাবে নির্বাচনে আসেনি দলটি। দলীয় চেয়ারপার্সন কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে থাকায় সংকটে রয়েছে দলটি। যদিও বিএনপি নেতারা দাবি করেছে দল সংকটে নাই। সরকারি দল ও পুলিশি বাধায় মাঠে নামতে পারছেনা বিএনপি, এমন দাবি নেতাদের।