এক মহিয়সী নারীর বীর সন্তান ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম!

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম বর্তমান সময়ের আলোচিত এক চেঞ্জ মেকারের নাম। অনেকে তাকে শতাব্দির শ্রেষ্ঠ জীবিত কিংবদন্তী হিসেবে আখ্যা দিলেও তিনি তার মায়ের কাছে একজন আদর্শবান সন্তান। ক’দিন পরপর খবরের পাতায় দেখা যায়, দেশের বড়বড় কর্তারা মা-বাবার খোঁজ নেন না, রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছে বৃদ্ধা মাকে; সেখানে সারোয়ার আলম এক মহিয়সী নারীর আদর্শ সন্তান।নিজের সফলতায় মাকে আনন্দিত করা, পরিবারের সদস্যদের আনন্দিত করা ও সমগ্র দেশবাসীকে আনন্দিত করা সারোয়ার আলমের এখন ধর্ম-জ্ঞান।

ছয় ভাই বোনের মধ্যে মো. সারওয়ার আলম সবার বড়। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার গর্বিত সন্তান তিনি। পাকুন্দিয়া বড়বাড়ির ব্যবসায়ী বাবা বোরহান উদ্দিন এবং ‘গরবিনী মা’ মোছাম্মদ আমেনা খাতুনের একমাত্র ছেলে। বাবা ব্যবসায়ী। সারওয়ার আলমের স্কুল এবং কলেজ কিশোরগঞ্জে। কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৭তম বিসিএসের মাধ্যমে মো. সারওয়ার আলম যোগ দেন প্রশাসনে। বর্তমানে র্যা পিড অ্যা’কশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) ফোর্সেসের আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে দু’র্নীতি ও সমস্যা জর্জরিত থাকার পর হাল ধরবে কে? যখন দেশবাসী হতাশার মুখ দেখতে শুরু করে ঠিক তখনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ লালন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একেরপর এক দু:সাহসিক অভিযান শুরু করেন। তা থেকে বাদ যায়নি সরকারি দলের বড় নেতারাও। এসব দু’র্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালের বি’রুদ্ধে অভিযান চালানোর নেপথ্যের নায়ক হিসেবে দেশবাসী সারোয়ার আলমকে ওয়ান ম্যান আর্মি হিসেবেই দেখছে।

স্পষ্টবাসী সারোয়ার আলম তার কর্মদক্ষতায় দেশের দায়িত্বশীলদের সার্বিক সহযোগীতায় দেশকে দু’র্নীতি, ভেজাল খাদ্য মুক্ত, অ’পরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে সাহসি এক আলোর দিশারী। র্যািব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম যখন কোথাও তার বীরত্বের কোনো সম্মাননা পান, তখন তিনি মনে করেন এসব সম্মাননা মানেই দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া। তার এই বেড়ে যাওয়া দায়িত্ব আজ দেশবাসী স্বচক্ষে দেখছে।

আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপদ খাদ্য, ঔষধ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিরাপদ করার পাশাপাশি সমাজে যে অনিয়ম রয়েছে সেগুলোর বি’রুদ্ধে তার মনোভাব জিরো টলারেন্স। তাকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে অ’পরাধের সাথে যারা যুক্ত তারা সমাজের বেশি প্রভাবশালী হওয়ায় কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষথেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকায় তিনি ভেজালের বি’রুদ্ধে অভিযান এবং মা’দকের বি’রুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে সারোয়ার আলমের কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট মহলের কাছে খুবই অপছন্দনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য প্রভাবশালী মহলের চাপে সারোয়ার আলমকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ বা বদলী বা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হবে কিনা তা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার রয়েছেন দেশের সচেতন মানুষ।