একসঙ্গে দুই চাকরি নলকূপ অপারেটরের চাকরি ছাড়লেন সেই পুলিশ সদস্য

দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পুলিশে চাকরির পাশাপাশি রাজশাহীর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটর পদেও চাকরি করে আসছিলেন মানিক আলী। রাজশাহীর পাকড়ী ইউনিয়নের নারায়ণপুর-২ এর গভীর নলকূপ অপারেটর পদে কাজ করতেন তিনি।এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরঅপারেটর পদ থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন সেই পুলিশ সদস্য। সেখানে তিনি বর্তমান চাকরির জন্য ওই চাকরি করতে পারছেন না বলে এই চাকরি ছাড়ার কথা উল্লেখ করেছেন।অব্যাহতিপত্রে দেখা গেছে, মানিক আলী নিজেই এই

আবেদন করেছেন। তিনি বিএমডিএ গোদাগাড়ী জোন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুল হাসানের কাছে আবেদন করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, নারায়ণপুর-২ এর গভীর নলকূপ অপারেটর ছিলাম। বর্তমানে আমার চাকরির কারণে অপারেটরের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় অপারেটর পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন জানাচ্ছি।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মানিক আলী একজন পুলিশ সদস্য। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে ঢাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, এরপর রাজশাহী জেলা পুলিশে যোগ

দেন। বর্তমানে তিনি নওগাঁ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) কর্মরত।এর আগে ২০০৯ সালে বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর হিসেবে যোগদান করেন মানিক আলী। এরপর পুলিশে চাকরি পেলেও অপারেটর পদ থেকে তিনি অব্যাহতি নেননি। তিনি নিজে উপস্থিত না থেকে শরিফ আলী নামে একজনকে দিয়ে নলকূপ অপারেটরের কাজ করান। এখন এটি শরিফ আলীই দেখাশোনা করেন। এরপর থেকে গত ৯ বছর ধরে তিনি পুলিশ সদস্য এবং বিএমডিএর নলকূপ অপারেটর পদে চাকরি করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য মানিক আলীর মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।বিএমডিএ গোদাগাড়ী জোন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিএনজিতে আছেন একটু পরে কথা বলবেন। কিন্তু এরপর একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন,

একসঙ্গে পুলিশ সদস্য ও বিএমডিএর নলকূপ অপারেটর থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাকে সেখান থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি।মানিক আলী নিজেই চাকরি ছাড়ার আবেদনের বিষয়ে চানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তিনি নিজেই আবেদন করলে ভালো। না করলেও তাকে বাদ দেওয়া হবে।