একসঙ্গে ওমরাহ পালনে গেলেন দুই মায়ের ঘরের ৭ ভাই

একসঙ্গে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার দুই মায়ের ঘরের সাত ভাই। তারা উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের মাওলানা আবদুল বারীর দুই স্ত্রীর সন্তান।জানা গেছে, মাওলানা আবদুল বারী দুটি বিয়ে করেছেন। তার দুই স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেন সাত ছেলে। বড় স্ত্রী হালিমা খাতুনের সন্তান শিব্বির আহমেদ সোবহানী (আঙ্গুর), ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী (বকুল) ও

হাসান আহমেদ সোবহানী (এমরান) এবং ছোট স্ত্রী হামিদা বেগমের ঘরে জন্ম নেন ছহুল আহমদ সোবহানী (রায়হান), মোস্তাক আহমদ সোবহানী (রেজুয়ান), শফিক আহমদ সোবহানী (শিবলী) ও রফিক আহমদ সোবহানী (ইকবাল)। বর্তমানে তারা স্ব-স্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।পাকুন্দিয়া উপজেলা পুলেরঘাটে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শিব্বির আহমদ সোবহানী (আঙ্গুর),

ঢাকা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী (বকুল), স্থানীয় পুলেরঘাট বাজারের সোবহানী ট্রেডার্সের মালিক ছহুল আহমদ সোবহানী (রায়হান), হাজী এম এ কালাম সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (ইংরেজি) হাসান আহমদ সোবহানী (এমরান), বাংলাদেশ টেলিভিশনে জনপদ বিভাগের সমন্বয়ক মোস্তাক আহমদ সোবহানী (রেজুয়ান), আবুল খায়ের গ্রুপের স্টোর অফিসার

শফিক আহমদ সোবহানী (শিবলী) ও সদ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রফিক আহমদ সোবহানী (ইকবাল)।ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী (বকুল) সাত ভাইয়ের একসঙ্গে ওমরাহ পালনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ছবির পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,

‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সাত ভাই (7-Sobhani) একত্রে পবিত্র ওমরাহ সম্পন্ন করলাম। মহান আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের নেক আমলসমূহ কবুল করুন।’তাদের সেই পোস্টটি মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। সকলেই তাদেরকে সাধুবাদ জানান ও তাদের মঙ্গল কামনা করেন।