আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো: পরীমণি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি স্বামী ও অভিনেতা শরিফুল রাজের কাছ থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গায়ে হাত তোলার মতো নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ বা তার পরিবার থেকে নিজের ওপর কোনো ক্ষতিকর কিছু হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানালেন এই চিত্রনায়িকা।রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক

প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান পরীমণি।পরী বলেন, ‘রাজ এখন শুধু আমার সাবেকই না, আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার ওপর তার আর তার পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।’এর আগে তিনি বলেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব

করে না চাইলে একটা মেয়ে বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটিবার যা ইচ্ছা তাই করলেও সব শেষে ওই যে, আমি মানিয়ে নেই। এটা রীতিমত দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এতদিন আমার

এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।’পরীমণি বলেন, ‘রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই

আলাদা হয়ে গেলাম।’২০২১ সালের অক্টোবরে ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় সাত দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরীফুল রাজ। খবরটি ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি হঠাৎ করেই জানান পরী। একইসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন এই চিত্রতারকা। আর ২০২২ সালের আগস্টের ১০ তারিখ পরী ও রাজের ঘর আলো করে জন্ম নেন পুত্র সন্তান রাজ্য।