অবশেষে জানা গেলো এই মাছের বিল্ডিংটি কোথায়

ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে মাওয়ায় অবস্থিত ‘হিলশা প্রোজেক্ট’ এর নানারকম ছবি। এই স্থাপত্যের সঙ্গে পাল্লা দিতেই গত দু একদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি ছবি জায়গা করে নেয়। যেটাকে বলা হচ্ছিল ‘প্রোজেক্ট তেলাপিয়া।’ তেলাপিয়া মাছের আকৃতির এই ভবনকে অবশ্য আরো কয়েকটি ছোট মাছের নাম ধরেও অভিহিত করছিলেন কেউ কেউ।

ফলে স্বভাবতই ছবিটি নিয়ে কৌতুহল দেখা দেখায়। অনেকেই ছবিটির উৎস্থল জানতে চান। কারণ অনেকেই এটাকে নতুন প্রোজেক্ট এবং বাংলাদেশের কোথাকার নতুন কোনো রেস্তোরাঁও ভেবে বসছিলেন। আদতে এটা তেমন কোনো রেস্তোরাঁ নয়, নয় কোনো প্রোজেক্ট। এটিকে মাছ ভবন বা ফিশ বিল্ডিং বলা হয়।আসলে মাছ আকৃতির এ ভবনটি আসলে ভারতে অবস্থিত। ভারতের জাতীয় মৎস উন্নয়ন বোর্ডের (এনএফডিএ) এটি আঞ্চলিক কার্যালয় এটি। হায়দরাবাদে এর অবস্থান।

চারতলা এ ভবনটি খুলে দেওয়া হয় ২০১২ সালে। স্পেনের বার্সেলোনায় ফ্রাঙ্ক গেহরির মাছের ভাস্কর্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। রাতের বেলা এই ভবনটি যখন নীলচে রঙে দোদীপ্যমান হয়, তখন এটাকে বিশাল একটা মাছের মতোই মনে হয়।

অবশ্য ফেসবুকে শেয়ার করা মাছ আকৃতির দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটি কোথায়, সেটি উল্লেখ করেননি কেউ। নাম দিয়ে শেয়ারই করে যাচ্ছেন শুধু। শেয়ারের ধরন দেখে যে কারও মনে হতে পারে, এটি বাংলাদেশের কোথাও। এমনকি এটি বাংলাদেশের কোথায়, এমন প্রশ্নও করেছেন অনেকে। এমনকি মন্তব্যতে কেউ কেউ জানতে চাইলেও শেয়ারকারী উত্তরে স্পষ্ট করে বলেননি এটি কোথায়।

ভারতের মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালে জাতীয় মৎস উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ও বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে পুরো ভারতজুড়ে কাজ করে সংস্থাটি। এরই আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে ভারতের হায়দরাবাদে এই মাছ ভবন নির্মাণ করা হয়।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদ শহরে ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মৎস উন্নয়ন বোর্ডের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর ২০১২ সালের এপ্রিলে এই মাছ আকৃতির ভবনে অফিস শুরু করে ভারতীয় মৎস উন্নয় বোর্ড।