ভারতের বিহার রাজ্যে হি’ন্দু যু’বককে বিয়ে করতে রা’জি না হ’ওয়ায় এক মু’সলিম ত’রুণীকে পু’ড়িয়ে মা’রা হয়েছে। সতিশ নামে এক হিন্দু ছে’লেকে বিয়ে ‘করতে না চা’ওয়ায় তিন যু’বক ওই মে’য়েটিকে অ’পদস্ত করে ও কে’রোসিন ঢে’লে গা’য়ে আ’গুন ধ’রিয়ে দেয়। পরে তাকে একটি গ’র্তে ফে’লে দেয়। মে’য়েটির আ’র্তচি’ৎকার শুনে তার আত্মীয়স্বজন ও গ্রা’মবাসী এসে তাকে উ’দ্ধার করে হা’সপাতালে ভর্তি করে। এর ১৭ দিন পর রোববার মে’য়েটি মা’রা যায়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর বিহারের রসুলপুরের হাবিব গ্রামে ই’ভটি’জিংয়ের প্র’তিবাদ করেন গুলনাজ খাতুন। এরপর চন্দন রাই নামে এক যুব’ক গুলনাজের গা’য়ে কে’রোসিন তেল ঢে’লে তা’কে পু’ড়িয়ে দেয়া’র চে’ষ্টা করে। চন্দন রাইয়ের স’ঙ্গে সতীশ রায় এবং বিনয় রায় নামে আরও দুজন একযোগে ওই কাজে সামিল হয় বলে অ’ভিযোগ। হা’সপাতালের বি’ছানায় শু’য়ে মে’য়েটি এক ভিডিও জ’বানব’ন্দিতে সতিশ ও তার দুই স’হযোগীর নাম বলে। ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভা’ইরাল হলে তা সারা দেশে ব্যা’পক ক্ষো’ভের সৃ’ষ্টি করে এবং অ’বিলম্বে অ’ভিযুক্তদের গ্রে’ফতারের দা’বি ওঠে। মে’য়েটির শ’রীরের ৭৫ শতাংশ পু’ড়ে গি’য়েছিল।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ’ভিযুক্তদের স’ঙ্গে মে’য়েটির কথা কা’টাকা’টি হয়। তবে তাকে নি’পীড়ন করা হয়েছিলো কিনা তা আরো ত’দন্ত করলে জানা যাবে। মে’য়েটির মা বিহার পুলিশের বি’রুদ্ধে অ’বহেলার অ’ভিযোগ এ’নেছে। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে এফ’আইআর দা’য়ের করা হলেও পুলিশ কোন ব্য’বস্থা নে’য়নি। তিনি বলেন, আমরা বি’চার চাই। আমার মে’য়ে ১৭ দিন মৃ’ত্যুর স’ঙ্গে ল’ড়েছে। আমরা অ’সহায়, কা’পড় সেলাই করে বেঁচে আছি। সে কারণেই ওরা মে’য়েটিকে পু’ড়িয়ে মে’রে’ছে। আর চার মাস পর ওর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
পুলিশ দা’বি করে অ’ভিযুক্তরা পা’লিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রে’ফতার করতে দে’রি হচ্ছে। বৈশালির এসপি মনিশ বলেন, মে’য়েটির বয়স ১৯-২০ বছর। সে তিন জনের বি’রুদ্ধে তাকে কে’রোসিন ঢে’লে পু’ড়িয়ে মা’রতে চা’ওয়ার অ’ভিযোগ করেছে। গত রোববার সে মা’রা গেছে। ৩০ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটলেও এফ’আইআর দা’য়ের
করা হয় ২ নভেম্বর। এস’পি আরো জানান যে মে’য়েটির অ’ভিযোগ মতো তিন জনের বি’রুদ্ধে মা’মলা দা’য়ের করা হয়েছে। এরা হলো সতিশ, তার পিতা ও চা’চাতো ভা’ই চন্দন। ঘটনাটি বিহার রাজ্যের জে’লা উইশালিতে ঘটে যেখানে তিন হি’ন্দু ব্য’ক্তি ২০ বছর বয়’সী গুলনাজকে কে’রোসিন তে’ল ফে’লে আ’গুন ধ’রিয়ে দেয়।
মা’মলায় পুলিশি নি’ষ্ক্রিয়তার কারণে ভু’ক্তভোগীর প’রিবার রা’স্তার পাশে ভি’কটিমের লা’শ রে’খে প্র’তিবাদ জানায়। পরিবার এই মা’মলায় তিনজনকেই গ্রে’প্তারের দা’বি জানিয়েছে। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মোদি স’রকারের স’মালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, যেহেতু মে’য়েটি মু’সলমান ছিল এবং ছে’লেটি হি’ন্দু ছিল তাই তাকে ‘লাভ জিহাদ’ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।