ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ৫ সন্তানের জননী এক নারীর সাথে একই এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ে বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।ঐ নারীর ঘরে গভীর রাতে আপত্তিকর অবস্থায় এক যুবক দেখতে পায় এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী গ্রামের মোঃ জলিল মোল্লার ছেলে মোঃ সুমন মোল্লা (৩২) এর সাথে একই এলাকার বাতারি মোল্লার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৬) এর অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পারভীন বেগমের স্বামী বাতারি মোল্লা মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছাড়া। পারভীন সন্তান সন্ততি নিয়ে বাড়ীতেই একা থাকেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক সুমন মোল্লার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন আগে রাত ১ টার সময় পারভীন বেগম ও সুমন মোল্লা কে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে একই এলাকার মোঃ এমরান মিয়া, মোকলেছ মিয়া সহ প্রতিবেশিরা।
সমাজে এধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রত্যাক্ষদর্শী এমরান মিয়া বলেন, ঐ দিন আমি আমার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহ হওয়ায় ঘরে না গিয়ে পারভীন বেগমের বাড়ীর পাশে বসেছিলাম তখন রাত পৌনে একটা বাজে এসময় সুমন মোল্লা পারভীনের ঘরে ঢুকে পারভীন ঘরের দরজা আগেই খুলে একটু ফাঁক করে রেখেছিলেন।
এর ১৫ মিনিট পরে মোকলেস মিয়া কে ডেকে এনে হাতেনাতে ধরে ফেলি এর পর অন্যন্যা প্রত্যাক্ষদর্শীরা এগিয়ে আসেন। প্রতিবেদক সরেজমিনে পারভীন বেগমের বাড়ীতে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুমন মোল্লা রাতে আমার ঘরে এসেছিল। কি জন্য এসেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা দিতে এসেছিলো।
অভিযুক্ত সুমন মোল্লার বাড়ীতে সরেজমিনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গেলে জানা যায় এলাকায় সাংবাদিক আসার খবরে তিনি আগেই বাড়ী থেকে সটকে পড়েন।সিংগারবিল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী বলেন, এই ঘটনাটি আসলে নিন্দনীয় আমি মনে করি প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার মধ্যেই এর বিচার হওয়া উচিত এবং মহিলাটি গরীব অসহায় তাই বিষয়টি একটি সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত।