স্কুলের সামনের ভেলপুরি-ফুচকাই আমা’র জীবনের সেরা খাবার

বিদ্যা সিনহা মিম। লাক্স সুপারস্টারের মুকুট মা’থায় নিয়ে যে অল্প ক’জনা নিজ আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন মিম তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন। কেননা নায়িকা হিসেবে সফল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ইতোমধ্যে নিজের ঝুলিতে নিয়ে ফেলেছেন জাতীয় পুরস্কার।স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যা সিনহা মিমের ক্ষেত্রে বলা যায় নক্ষত্রমণ্ডলে এই তারকার উপস্থিতি বেশ জ্বলজ্বলে। তবে তাঁর দাবি তিনি খুব দূরে থাকেন না, পৃথিবীর নিকটেই এবং মানুষ চাইলেই তার নাগাল পেতেই পারে, কেননা তিনি সাধারণের নায়িকা। জন্ম’দিনে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বললেন বিদ্যা সিনহা মিম।ছোটবেলার জন্ম’দিন আর বড় বেলার জন্ম’দিন কোনটা মনে মজার?ছোটবেলাতে আম’রা ভোলায় থাকতাম। আমা’র জন্ম’দিন পালন করা হতো বেশ ঘটা করে। আয়োজন করে সবাইকে ডেকে খাওয়ানো হতো। বাবা জন্ম’দিনটা খুব আয়োজন করেই পালন করতেন। আশেপাশের সকলকেই ডেকে খাওয়াতে পছন্দ করতেন এবং আমা’র জন্ম’দিনে সেটা হতো আরো ব্যাপকভাবে। ছোটবেলা তো ভোলার পরে কুমিল্লায় ছিলাম। ছোটবেলার আয়োজনটা ভালো লাগতো।

জন্ম’দিনের হৃদয়ছোঁয়া কোনো স্মৃ’তি?আমি আসলে জন্ম’দিন ফ্রিক ছিলাম। বাসায় প্রচুর মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হতো। যখন কেক কা’টার আয়োজন করা হতো আমি তখন মানুষজন দেখে কেঁদে দিতাম। এক থেকে ৫ বছর পর্যন্ত আমা’র সমস্ত ছবি কা’ন্না করার। মা দেখিয়ে আমাকে এখনো খোঁচা দেয়।জীবনের সবচেয়ে স্ম’রণীয় মুহূর্ত, খুব কম প্রশ্ন। কিন্তু মিমের স্ম’রণীয় মুহূর্ত জানবো না- এটা ঠিক নয়, যদি বলতেন-আসলে একটা মানুষের জীবনে অনেক স্ম’রণীয় ঘটে। অনেক অনেক মজার বিষয় ঘটে যায়। কিন্তু আপনি যখন প্রশ্ন করে ফেললেন তখন কোনটা বলবো, বুঝে উঠতে পারছি না।\

যদি বলা হয় সেরা স্ম’রণীয় ঘটনা, যেটার কথা উঠলেই চোখের সামনে যে ইমেজটা উঠে আসে…ক্রাউন পাওয়া। সত্যিই বলতে কি আমা’র লাইফে অনেক স্ম’রণীয় মুহূর্ত রয়েছে। এমনকী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু দ্বিতীয়বার আপনি যখন বলললেন তখন কিন্তু আমা’র লাক্স সুপারস্টারের চূড়ান্ত বিজয়ী হয়ে মা’থায় মুকুট পরিয়ে দেওয়ার দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠল।বিব্রতকর অ’ভিজ্ঞতা? মিডিয়ায় এসে মে’য়েরা নানা বিব্রতকর অ’ভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়…না আমা’র ক্ষেত্রে

সেরকম কিছু হয়নি। স’ম্পর্কের একটা বিষয় এক্ষেত্রে কাজ করে কি না জানি না। আমা’র সঙ্গে সকলের সঙ্গে স’ম্পর্ক ভালো। আমি ঝগড়া বিবাদ কারো সঙ্গেই করি না। শুটিঙের দু একটা ছোট খাটো দুর্ঘ’টনা ছাড়া আমি তেমন কিছু মনে করতে পারছি না। আর সত্যি কথা বলতে কি আমি অনেক ওপরে উঠে গেছি এটা ভাবি না। কারণ মানুষ শিখরে উঠলেই পড়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা তৈরি হয়।

স্কুলবেলার কথা মনে করতে পারেন?হ্যাঁ একদম। আমা’র স্কুল লাইফটাই ছিল আমা’র জীবনের সেরা সময়গুলোর মধ্যে ওই স্কুলটাই সেরা। স্কুলের সামনে ভেলপুরি, ডালপুরি, ফুচকা খাওয়ার সময়গুলো ভাবলেই বুকটা কেমন হাহাকার করে ওঠে। এই এখন রেস্টুরেন্টে আম’রা যাই, এতো এতো খরচ করে বিল দেই। এইসব খাবারের তৃপ্তিকর বিষয় কিন্তু একদম ফিকে হয়ে যায় স্কুল জীবনের খাবারের কাছে।এখন কী’ কী’ নিয়ে সময় কাটছ…করো’নার একটা বড় ধাক্কা গেল। সেই ধাক্কা

সামলে ওঠাই যায়নি এখনো। বাংলাদেশ ও ভা’রতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ব্ল্যাক’ নামের একটি ছবি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। ‘পরাণ’ নামের একটি ছবির কাজ মিম শেষ করেছি করো’না আসার আগেই ‘ইত্তেফাক’ নামের আরেকটি ছবির কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় আছে, পড়ে রয়েছে। নিও নর্মাল লাইফে তেমন কিছু করা হচ্ছে না। খুব সতর্কভাবে পা ফেলতে হচ্ছে। ক’দিন আগে ফুড পাণ্ডার একটি ফুডের প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম, সেখানে শর্মা রান্না করতে হয়েছে। করো’না শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসলে কী’ করবো বুঝে উঠতে পারছি না। দেখি কি হয়…