সাভারে স্ত্রীর অধিকার দাবিতে শ্ব-শুরবাড়িতে অন-শন করছেন শান্তা ইসলাম নামে এক নববধূ। গত ২ দিন ধরে ওই বাড়িতে অনশন করছেন যশোরের ঝিকরগাছার কৃ-ষ্ণনগরের খলিফা পাড়ার মেয়ে শান্তা ইসলাম।জানা গেছে, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে শান্তার বিয়ে হয় সাভার পৌর এলাকার গে-ন্ডা সচিব রোডের নজরুল
ইসলামের ছেলে সাগরের সঙ্গে। কি-ন্তু দুই মাসের মাথায় শা-ন্তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে স্বামী ও শ্ব-শুর-শা-শুড়ি।এ ঘ-টনায় শান্তা সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে খবর পেয়ে তার শ্ব-শু-র, শা-শুড়ি ও স্বামী বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
শান্তা ইসলাম জানান, ফেসবুকের সূত্র ধরে পরিচয়ের কিছুদিনের মধ্যে তাদের প্রে-মের স-ম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক সাগর বেশ কয়েকবার ঝিকরগাছায় শা-ন্তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাদের বেশ কয়েকটি দূর পাল্লার বাস ও দোতলা বা-ড়িসহ স-ম্পদ আছে বলে জানান সাগর।সরল মনে শা-ন্তাও তা বি-শ্বাস করেন। পরে সাভারে সাগরদের বাসায় গেলে তার বাবা নজরুল ইসলামের পরাম-র্শে গত ১৬ সে-প্টে-ম্বর নারায়ণগ-ঞ্জে কাজী অফিসে তাদের বিয়ে স-ম্পন্ন হয়।
কিন্তু ব-র্তমানে তার স্বামী ও শ্ব-শু-রবাড়ির লোকজন তাকে মেনে নিতে চাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে আহত করা হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে না গেলে প্রা-ণে মেরে ফে-লার হু-মকিও দেয়া হয়েছে।শান্তা ইসলাম আরও জানান, তাদের হুম-কি ধাম-কিতে সে চলে না যাওয়ায় শ্ব-শুর নজরুল ইসলাম তাকে কু-প্র-স্তাব দেন।শা-ন্তা দাবি করেন, বাবার বাড়ি থেকে চলে আসার সময় নগদ দুই লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লাখ টাকার স্ব-র্ণালং-কারসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন। সেই টাকাও সাগর ও তার বাবা নিয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
শা-ন্তার ধারণা, তার শ্ব-শুর সাগরকে কোথাও সরিয়ে আটকে রেখেছে। সর্ব-শেষ ৩ দিন আগে সাগর তাকে এসএমএস করে জানিয়েছিল তার বাবা তাকে আটকে রেখেছিল।এ বিষয়ে সাগর ও তার বাবা নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চে-ষ্টা করলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।অনশনরত শান্তা তার
দাবির বিষয়টি সাভার উপজেলা নি-র্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি তাকে পুলিশ পা-ঠানোর আ-শ্বাস দেন এবং পু-লিশ পাঠিয়ে তার খোঁ-জ খবর নেন।এ বিষয়ে সাভার ম-ডেল থা-নায় একটি সা-ধারণ ডায়রি করা হয়েছে এবং মে-য়েটিকে আদা-লতে যাওয়ার পরা-মর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান থানার ভা-রপ্রা-প্ত কর্ম-কর্তা এএফএম সায়েদ।