শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামে দুইটি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক আবু বক্কর খলিফা, নুরুজ্জামান খলিফা ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাজনগর ইউনিয়নের নয়নমাদবরের কান্দি গ্রামের জয়নাল মোড়ল তার লোকজন নিয়ে ঠাকুরকান্দি
গ্রামে এসে বোমা ফাটিয়ে ও ফাঁকা গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এসময় আবু বক্কর খলিফার দুইটি বসতঘরের দরজা ও টিনের বেড়া কুপিয়ে ভাঙচুর করেন। একটি ঘর থেকে পেঁয়াজ রসুনসহ অন্যান্য জিনিস লুট করেন। এসময় তার স্ত্রী বের হলে তার গলার চেইন ছিনিয়ে নেন এবং তার মাথায় আঘাত করেন।
তারা আরও জানান, পরে তিনি দৌড়ে বড় ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজার আটকে দিলে হামলাকারীরা জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন। অন্যদিকে কয়েকটি বাড়ির পরে আবু বক্কর খলিফার বড় ভাই নুরুজ্জামান খলিফার ঘরের জানালার গ্লাস ভাঙচুরসহ বাড়িতে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটান জয়নাল মোড়লের সমর্থকরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে অভিযোগ পেলে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে নড়িয়া থানা পুলিশ।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়নাল মোড়ল।
আরো পড়ুন…গাইবান্ধায় একটি ক্লিনিকে এক মা সন্তান জন্ম দিয়ে মেডিকেল বিল পরিশোধ করার জন্য ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন তার সন্তানকে। এ নিয়ে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) একটি ইংরেজি দৈনিকে খবর প্রকাশিত হলে তা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপির নজরে আসে। বিষয়টি তার মনে দারুণভাবে পীড়া দেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তিনি গাইবান্ধার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং উক্ত টাকা ফেরত দিয়ে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইনমন্ত্রীর অনুরোধে গতকালই গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন নবজাতকে জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করে মা আঞ্জুলা বেগমের কোলে ফেরত দেয়। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আঞ্জুলা বেগমকে ২০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং নগদ দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করার জন্য যে টাকা গ্রহণ করা হয়েছিল তা ফেরত দেওয়ার জন্য আজ রোববার আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসন বরাবর ১৬ হাজার টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।