ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আবারও শান্তি আলোচনা আভাস বাইডেনের

ট্রাম্পের কথিত শান্তি প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনিদের মেনে নিতে বাধ্য করতে তাদের সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছিল তার প্রশাসন। এমনকি ফিলিস্তিনিদের চাপে রাখতে সব ধরনের মানবিক ত্রাণ সহায়তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এবার ট্রাম্পের বন্ধ করা ওই সব মানবিক ত্রাণ সহায়তা জো বাইডেনের সরকার পুনরায় চালু করবে বলে আশ্বাস দেন নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যামালা হ্যারিস।

ডেমোক্র্যাটিক দলের এ নেত্রী রোববার দ্য আরব আমেরিকান নিউজকে দেয়া এক ইমেইল সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তার সরকার কোনোভাবেই ট্রাম্পের একপেশে নীতি সমর্থন করবে না। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আবারও শান্তি আলোচনা শুরু করবে বাইডেন সরকার। তিনি বলেন, জো বাইডেন এবং আমি প্রতিটি ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলিদের মূল্য বুঝি।

সেই সঙ্গে তাদের ইচ্ছা এবং ভাবনার মূল্য আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা একত্রে প্রতিটি ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্রের জন্য কাজ করব। তিনি আরও বলেন, আমরা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে ইসরায়েলের দখলদারত্বকেও সমর্থন করবে না ডেমোক্র্যাট সরকার এমনটাই জানিয়েছেন ক্যামালা হ্যারিস ।

আরও পড়ুন=মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) পেরুর এ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা ভোট দেন।গণমাধ্যমকে ভিজকারা বলেছেন, তিনি সংসদ সদস্যদের ভোটের রায় মেনে নেবেন এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না। শিগগিরই তিনি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে দেবেন। প্রেসিডেন্ট ভিজকারার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুলাইয়ে।পেরুর দক্ষিণের মোকুগুয়া অঞ্চলের গভর্নর থাকাকালীন ৫৭ বছর বয়সী ভিজকারা প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষের বিনিময়ে একটি সংস্থাকে

সরকারি কাজ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে বারবারই তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে অভিশংসনের যেকোনো পদক্ষেপ দেশকে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভিজকারা। চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশের অর্থনীতি ইতোমধ্যে তীব্র মন্দার কবলে পড়েছে।কিন্তু সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের ১০৫ সদস্য প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। এছাড়া বিপক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্টের মাত্র ১৯ জন সদস্য। ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন চারজন।সূত্র: বিবিসি ও গার্ডিয়ান