চুয়াডাঙ্গায় পাওনাদারকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক

চুয়াডাঙ্গায় অপহরণের নাটক সাজিয়ে পাওনাদারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে পলাতক এক নারীকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধারের পর বুধবার (২৩ জুন) ওই নারীকে চুয়াডাঙ্গায় আনা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ জুন দুপুর ১২টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৬৫) চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় উপস্থিত হন। এ সময় তিনি তার মেয়ে রুবিনা খাতুন (৩০), জামাই রাসেলসহ (৩৫) তাদের তিন সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এরপর গত ১৯ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিখোঁজ রুবিনা তার ভাই আসাদু্জ্জামানকে মুঠোফোনে কল দিয়ে জানান, তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালপাড়ায় ডিজিটাল মোড়ে সাইদুর রহমানের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তারা তদন্ত শুরু করে।

পরে মঙ্গলবার (২২ জুন) তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রুবিনা খাতুনকে উদ্ধার করে। পরে বুধবার তাকে চুয়াডাঙ্গায় আনা হয়।

উদ্ধারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রুবিনা খাতুন স্বীকার করেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি ও তার স্বামী পাওনাদারের চাপে তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এই মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।

রুবিনাকে জিজ্ঞাসাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নিরাময় ক্লিনিকের মালিক সাইদুরের কাছ থেকে রুরিনা ও তার স্বামী বিভিন্ন সময় টাকা ধার নেন। সাইদুর পাওনা টাকার জন্য তাদের চাপ দিলে এক পর্যায়ে রুবিনা ও তার স্বামী রাসেল অপহরণের এই নাটক সাজান।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বুধবার রাত) কথিত অপহৃতকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানিয়েছেন।