‘গুরুতর অসুস্থ’ খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রায় দুই মাস পর সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বলেছেন, ‘দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ।তার অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট দরকার। কারণ এখানে ডাক্তার যারা আছেন তারা বলছেন তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

অসুস্থতার কারণে দুই মাস বিএনপির অফিসে আসতে পারেননি তিনি।রিজভী তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রিজভী বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে বেগম জিয়ার গৃহ অন্তরীণ অবস্থার অবসান চাই। সম্পূর্ণ মুক্তি চাই। দেশনেত্রীর মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটবে না।দেশবাসীর মুক্তি মিলবে না। সরকার নানা শর্তের বেড়াজাল তৈরি করেছে যাতে তিনি তার ইচ্ছেমতো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তার স্বাধীনভাবে দেশে-বিদেশে যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারণ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃশেষের পথে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে লিগ পর্বের লড়াই। পাঁচ দলের মধ্যে চারটি দল নিশ্চিত করেছে প্লে অফ। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সেই প্লে অফের লড়াই। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ১২টায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে বেক্সিমকো ঢাকা ও ফরচুন বরিশাল।এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে যাওয়া দল বাদ পড়ে যাবে। জয়ী দল এগিয়ে যাবে ফাইনালের পথে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জয়ী দল নিশ্চিত করবে ফাইনাল। হেরে যাওয়া দল দ্বিতীয় কোয়ালিফয়ার ম্যাচে খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দলের সঙ্গে, ১৫ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের কাঙ্খিত ফাইনাল।

এলিমিনেটর ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ডু অর ডাই। লিগ পর্বে ৮ ম্যাচের মধ্যে সমান চারটি করে জয় ও হার ঢাকার। পয়েন্ট ৮। সেখানে বরিশাল ৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি জয়ে উঠে এসেছে প্লে অফে। শেষ ম্যাচে তো এই ঢাকাকেই ২ রানে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে বরিশাল।একদিনের ব্যবধানে আবার সেই ঢাকার মুখোমুখি বরিশাল। সেই জয়ের স্মৃতি নিশ্চয় অনুপ্রাণিত করতে বরিশাল শিবিরকে। প্রতিপক্ষ বরিশালকে নিয়ে বেক্সিমকো ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন রোববার মিরপুরে বলেন, ‘বরিশালের সঙ্গে এর আগেও দুইবার খেলেছি একবার জিতেছি একবার হেরেছি।

তারা খুবই ভালো একটি দল। লিগের শেষ ম্যাচে আমরা খুব ক্লোজ হেরেছি। রান চেজ করতে গিয়ে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি বিশেষ করে নাইম শেখ এবং ইয়াসির রাব্বি, তাতে আমার মনে হয় টিম কনফিডেন্ট। সবচেয়ে বড় কথা আমরা বরিশালের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা সাজাতে তেমন বেগ পেতে হবে না।’বরিশালের চেয়ে নিজেদের বেটার সাইড মনে করছেন সুজন, ‘আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী কালকে (শনিবার) যে ভুলগুলো করেছি সেই ভুলগুলো যদি কাটিয়ে উঠতে পারি তাহলে আমরা বেটার সাইড। আমরা মাশাআল্লাহ প্রথম তিন ম্যাচ হারার পর যেভাবে কাম ব্যাক করেছি সেখানে আমি মনে করি টিমের কনফিডেন্সে কোন সমস্যা নেই।

আমাদের একটা দিকে স্ট্রিক থাকতে হবে এবং কনফিডেন্ট থাকতে হবে। আমাদের এই ছেলেরাই ডেলিভার করবে ইনশাআল্লাহ। তাই বিশ্বাস করছি সো ফার সো গুড যা হয়েছে আমরা হ্যাপি। আর আমরা আগামীকাল ফাইট করতে চাই ভালো খেলতে চাই এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’অল ওভার টুর্নামেন্ট নিয়ে সুজনের মূল্যায়ন, ‘আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টের যেটা উদ্দেশ্য ছিল সেটা ভালো ভাবেই পুরণ হয়েছে। প্রত্যেকটা ম্যাচ দেখেন বেশ উত্তজনাপূর্ণ হচ্ছে। আবার অনেক ছেলে পারফর্ম করছে যাদেরকে আমরা এক্সপেক্টই করিনি।

সাইফ হাসানের ব্যাপারে যে কথাটা উঠেছিল যে সাইফ টি-টোয়েন্টি পারবে না। কিন্তু ও যেভাবে ব্যাট করেছে অনেককেই ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে। তো এটা একট বড় সাইন যে আমাদের ছেলেরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। জায়গা মত ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছে।সুতরাং ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্টটা যদি আমরা কন্টিনিউ করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় আগামী কয়েকবছরে আমরা বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার পেয়ে যাব। যারা ইন্টারন্যাশনল ক্রিকেটে ভালো খেলবে আমাদের ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে।’