ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাবোর্ড ও টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করছে। তবে এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি।’
এর আগে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদায়ী আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মু. জিয়াউল হক। এ বছর জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আগের দুই পরীক্ষার ফলের ওপর শিক্ষার্থীর গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ হবে।
জানা গেছে, গ্রেড মূল্যায়ন টেকনিক্যাল কমিটি ফল তৈরি করতে জিপিএ গ্রেড নির্ণয়ের রূপরেখা করে দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে নীতিমালা করা হয়েছে। ‘অটো পাসে’ পরীক্ষার্থীদের গ্রেড নির্ণয় করতে আট সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটিতে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদস্য রাখা হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ জার্নালকে বলেন, যেসব শিক্ষা মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান আছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করেছে এসব শিক্ষার্থীদের কেউ এতটুকু বঞ্চিত হবে না। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর সঙ্গে যুক্ত থাকায় ফল প্রকাশের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি ও সমানের পরীক্ষায় প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তাদের মধ্যে বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল এক লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ জন। আর দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ২২৪ জন। এক বিষয়েও পাস করতে পারেননি এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৩৪১ জন। তবে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় সবাই পাস করবেন।