এবাড় প্রায় এক মাস ধরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেই চলেছে। ধারাবাহিকভাবে দাম কমতে কমতে চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। শুধু গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩০ ডলার। চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮২৪ ডলার। এরপর দফায় দফায় দাম বাড়তে বাড়তে ফেব্রুয়ারির প্রথমদিন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৫০ ডলারে উঠে যায়।
তবে এরপর থেকেই আবার স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করে। দেশের বাজারে সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সেসময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববাজারে তখন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮৬৬ ডলার।
এখন তা কমে এক হাজার ৮১০ ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৫৬ ডলার কমে গেছে। এর মধ্যে শুধু গত এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩০ ডলার। আর মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৩৫ ডলার। এদিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও এখনই দেশের বাজারে দাম কমাচ্ছে না বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এ বিষয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দাম নির্ধারণ করি স্থানীয় বাজারের পাকা স্বর্ণের দামের ওপর নির্ভর করে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম খুব একটা কমেনি। তাছাড়া ডলারের দামও বেশি। আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণের পর স্বর্ণের দাম পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেব।