সেপ্টেম্বর মাসে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিজের বিছানা নিজে গুছিয়ে রেখে নিজেই চা বানিয়ে খান। আর তারপর সময় থাকলে বই পড়া ও পাশের লেকে মাছও ধরেন তিনি। সম্প্রতি তেমনি এক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ছিপ হাতে মাছ ধরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার মাছ ধরার ও সেলাই করার দুটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি দুটি আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা নিজেদের ফেসবুকে শেয়ার করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও ছবি দুটি শেয়ার করা হয়েছে।সাধারণ বাঙালি নারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নানা ব্যাস্ততার মাঝে তিনি অবসর পেলেই সেলাই করেন
ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন। মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত ১০ মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এর মধ্যে তিনি সময় পেলে রান্না করেন, মাছ ধরেন এবং সেলাই করেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ক্যাপশন দেয়ার মতো বিদ্যা আমার নাই!’ক্যাপশন দেবার মতো বিদ্যা আমার নাই!চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ফখরুল ইমাম তার সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান, ‘ঘুম থেকে উঠে কি খোঁজেন প্রধানমন্ত্রী?’
এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর সকালের নিজের চা-টা নিজে বানিয়ে খাই। আমার ছোট বোন রেহানা আছে। যে আগে উঠে, সে চা বানায়। এখন আমার মেয়ে পুতুলও রয়েছে। সেও যদি ঘুম থেকে আগে ওঠে, তাহলে সেও চা বানায়। তার আগে নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে।’
সাধারণ বাঙালি নারী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নানা ব্যাস্ততার মাঝে তিনি অবসর পেলেই সেলাই তিনি আরো বলেন,‘আমাদের বাবার শিক্ষা, রিকশাওয়ালাকে আপনি করে বলতে হবে। ড্রাইভারকে সাহেব বলতে হবে। বাড়ির কাজের লোকজনকে হুকুম দেওয়া যাবে না। আমরা সেই শিক্ষাই অর্জন করেছি। আমার বাসায় যারা কাজ করে, তাদের কখনো হুকুম দিই না। বলি, আমাকে এটা করে দিতে পারবে? সেই শিক্ষাই জাতির পিতা আমাদের দিয়েছেন।’