হাত বাড়ালেন শোভন, তামান্নার ডাক্তার হতে আর বাধা নেই!

মেধাবী মেয়ে তামান্নার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরনে সহযোগিতার হাত বাড়ালেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উত্তর ধরলার খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ মুক্তিয়ু’দ্ধের অন‍্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা সাবেক সাংসদ ও গভর্নর মরহুম শামছুল হক চৌধুরীর নাতি রেজওয়ানূল হক চৌধুরী শোভন।

চলতি শিক্ষাবর্ষে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি ও লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো মেধাবী তামান্নার। তার ভর্তির অনিশ্চয়তার বিষয়টি নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইন সংস্করণ সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তামান্নার মেডিক্যালে ভর্তির ষাবতীয় খরচসহ তার পরিবারকে আর্থিক সাহায‍্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বেলদহ গ্রামের দরিদ্র ফেরিওয়ালা তারা মিয়ার মেধাবী মেয়ে তামান্না। সে এবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ২২৬৭ তম স্হান পেয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। শোভনের এই মানবিক কাজে তামান্নার স্বপ্ন পূরনে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল সেটা কেটে গেল।

তামান্নার বাবা তারা মিয়া ও মা লাইলী বেগম বলেন, ‘বলেন আমাদের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে ডাক্তার বানাবো, আল্লাহর রহমতে মেয়ে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু আর্থিক সংকটে মেয়েকে ভর্তি করানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। আমাদের এলাকার সন্তান শোভন এই বিপদের সময় এগিয়ে এসেছে, আমাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে মেয়ের ভর্তির খরচসহ আর্থিকভাবে আমাদের পরিবারকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। এজন‍্য আমরা তার কাছে চীরকৃতজ্ঞ। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে মানুষ হিসেবে আরো অনেক বড় করেন।’

এবিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘কালের কণ্ঠ অনলাইনে সংবাদটি দেখে আমি এলাকার সন্তান হিসেবে তামান্নার স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে এসেছি। মেধাবী শিক্ষার্থী তামান্নার রংপুর মেডিক্যালে ভর্তির খরচ ও তামান্নার পরিবারকে আমার দেয়া আর্থিক সহযোগিতা ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভালোবাসার উপহার’ হিসেবে আমি মনে করব।’

তিনি আরো বলেন, আমি তামান্নার মেডিক্যাল ভর্তির খরচের পাশাপাপাশি তার বাবা তারা মিয়াকে একটি অটো কিনে দিব, যা দিয়ে তামান্নার পড়ালেখার খরচ ও পরিবারের অন‍্যান‍্য চাহিদা মেটাতে পারবে বলে আমি আশা করছি। এই সহযোগিতা একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে আমার নিজস্ব দায়িত্ববোধ থেকেই করছি। আমার এলাকার মেধাবীদের সামথ‍্য অনুযায়ী আমি এভাবেই সহযোগিতা করে যাব।