স্টেডিয়ামের সিঁড়ির নিচে মিলল কয়েক লাখ টাকার টিসিবির পণ্য

দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য আশার একটি নাম টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের মানুষ যখন এই পণ্য কিনে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, তখন রাঙামাটি শহরে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে কয়েক লাখ টাকার টিসিবির পণ্য।

খবর পেয়ে শনিবার (১০ মার্চ) সকালে শহরের স্টেডিয়ামের সিঁড়ির নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড় থাকা ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উদ্ধার করে পুলিশ।টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্যের জন্য স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দিয়ে পণ্য সংগ্রহের চেষ্টা করলেও অর্ধেক মানুষের ভাগ্যেই পণ্য জোটে না। নিজের সিরিয়াল আসার আগেই পণ্য শেষ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় টিসিবি পণ্য উদ্ধারের ঘটনা জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

পথচারী মো. হানিফ বলেন, সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখতে পাই টিসিবি লেখা বস্তাগুলো এখানে পড়ে রয়েছে। তখন লোকজন কম থাকাতে অনেকেই তেল, পেঁয়াজ, চিনি, ডালসহ অনেক জিনিস নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা এখানে ভিড় করতে শুরু করে।স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘নির্ধারিত মূল্য ৫০০ টাকা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও আমরা টিসিবি পণ্য ক্রয় করতে পারি না। আর এখানে এভাবে পড়ে আছে। এটা গরীবের সঙ্গ তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

রাঙামাটি শহরে টিসিবি পণ্য বিক্রয়কারী ডিলার ঝিল্লোল মজুমদার বলেন, ‘শনিবার সকালে আমি পণ্য উদ্ধারের ঘটনাটি জানতে পারি। তৎক্ষণাৎ আমি গোডাউনে গিয়ে দেখি গোডাউনের তালা ভাঙা। আমার গোডাউন থেকে কে বা কারা পণ্যগুলো চুরি করেছে সেই ব্যাপারে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি কোতোয়ালি থানার ওসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টিসিবি কেন্দ্র থেকে আড়াই লাখ টাকার পণ্য কিনে এনে গোডাউনে রেখেছিলাম আমি। আজ শনিবার থেকে সেগুলো শহরে বিক্রির কথা ছিল।’পণ্য উদ্ধারের ব্যাপারে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পণ্যগুলো উদ্ধার করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’