‘রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায়ের ঈমানি দায়িত্ব পালন করেছি’

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নমুনা সংগ্রহ এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর প্রথম দিকে ‘অস্বীকার’ করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন।তিনি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে ফোন করছিলেন। আমি বিষয়টি অস্বীকার করেছি, কেন প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে একজনের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখেছি। চিকিৎসক হিসেবে আমি আমার ঈমানি দায়িত্ব পালন করেছি।’

রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. মামুন আরও বলেন, খালেদা জিয়ার কোনো করোনার উপসর্গ নেই। কিন্তু তার গৃহকর্মী ফাতেমাসহ ৮ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে প্রথমদিকে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার করোনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও পরবর্তী কিছু ঘটলে তার চিকিৎসা রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার জন্য একটা কেবিনের বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে।এর আগে সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তরফ থেকে খালেদার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হলেও কিছু বলছিল না তার পরিবার ও বিএনপি। এমনকি শনিবার (১০ এপ্রিল) খালেদার করোনার নমুনা নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তা নাকচ করে দেয় তার প্রেস উইং। ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনের বরাত দিয়ে প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য খালেদা নমুনা নেননি।

অবশেষে আজ বিকেলে বিএনপির তরফ থেকেও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, খালেদার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল, তিনি ভালো আছেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।