বাংলাদেশিদের ভালোবাসা দেখে বিস্মিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা দেখে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান অনেকটাই বিস্মিত বলে জানিয়েছেন তার সাথে দেখা করা ফারাজ করিম চৌধুরী।সোমবার (১৭ মে) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক থেকে লাইভে এসে এ কথা জানান ফারাজ।এসময় ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, গতকাল সকালে আমি ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাসে গিয়েছিলাম।

সেখানে আমার সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বললেন ওনারা আসলে প্রথমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে চাননি।কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দাবির প্রেক্ষাপটে খুলেছেন। তিনি একটা কথা বলেছেন আমার খুব ভালো লেগেছে, অনেক মানুষ আছেন যারা পাঁচ টাকা পর্যন্ত পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের মানুষের এ ভালোবাসা দেখে তিনি অনেকটাই বিস্মিত। কিন্তু উনি জানতো বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনিদের ভালোবাসেন, কিন্তু এতোটা পরিমাণে ভালোবাসেন তা তিনি ভাবতে পারেননি।তিনি বলেন, এ পাঁচ টাকা যারা পাঠিয়েছেন তাদেরও রামাদান একটি লম্বা মেসেজ দিয়েছেন। যারা টাকা পাঠিয়েছেন তাদের কাছে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের মেসেজটি স্মৃতি হিসেবে থাকবে।

এসময় আমরা বিকাশের সমস্যার কথা তুলে ধরলাম, কারণ ফিলিস্তিনি দূতাবাস থেকে যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে, তার একটা লিমিট আছে। আর এ লিমিটের কারণে অনেকেই পুরোপুরি টাকা পাঠাতে পারছেন না। উনি বললো যে, বিকাশের সঙ্গে কথা বলে লিমিটটা সরানোর (বাড়ানোর) চেষ্টা করবেন এবং একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন।এছাড়া ফিলিস্তিনদের সহযোগিতার জন্য কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন ফারাজ করিম। তার তথ্যগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো:

১. শুধুমাত্র ফিলিস্তিন দূতাবাসের অফিশিয়াল বিকাশ-রকেট-নগদে টাকা দেওয়া যাবে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ফিলিস্তিন দূতাবাসে ফোন অথবা ই-মেইল করতে হবে। ফিলিস্তিন দূতাবাসের ফোন নাম্বার, ঠিকানা এবং ই-মেইল গুগলে পাবেন। অথবা ফিলিস্তিন দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজে যেয়ে তথ্য জেনে নিতে হবে।২. কেউ যদি সরাসরি টাকা অথবা ওষুধ দিতে চায় তাহলে বারিধারায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসে তাঁরা দিতে পারবে।

৩. শুধুমাত্র সেই ওষুধগুলো তাদের প্রয়োজন যেগুলোর নাম আমি বিগত পোস্টগুলোতে শেয়ার করেছি। যদিও আমি আমার কাছে কুরিয়ার করতে বলেছি কিন্তু কোন ফোন নাম্বার সাথে না দেওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ হয়তো কুরিয়ার করতে পারে নি। সেই কারণে আমি আমার ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে ইতিমধ্যে ওষুধগুলো আমি জোগাড় করেছি। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে আমি ওষুধগুলো ফিলিস্তিন দূতাবাসে গিয়ে দিয়ে আসবো ইন শা আল্লাহ।

ফিলিস্তিনজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে নিরীহ মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা করেন তিনি।এসময় ফিলিস্তিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সবার সহযোগিতা চেয়ে স্ট্যাটাস দিলে ফিলিস্তিনি জনগণকে সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করে অসংখ্য মানুষ। এতে প্রবাসীসহ অনেকেই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানোর মতামত দেন।ফিলিস্তিন দূতাবাসকে বিষয়টি অবহিত করা হলে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ দুটি ফোন নম্বরে (৪১০৮১৩৮২, ৪০১৮০৮৪১) যোগাযোগ করে বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করে সহযোগিতা পাঠানোর অনুরোধ জানান।