‘কাজ খুঁজেও কাজ পাই নাই, তাই বাড়ি যাই’

গাজীপুর একটা গার্মেন্টসে কাজ করতাম গেল মাসে গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছ, বেতন ভাতাও পাই নাই। ঘর ভাড়া দিয়া থাকুম টেকা পামু কনে। কাজ খুজছিলাম কাজ পাই নাই তার ছোট ছেলেটারে নিয়া বাড়ি যাইতাছি। সবাই একসাথে চলাফেরা করতাছে কোন সমস্যা নাই খালি গাড়ী গোড়াই চলে না। চার-পাঁচবার গাড়ী বদলাইয়া ঘাট পর্যন্ত আইছি। এখন যে কয়টাই বাজুক নদী পার হইতে হইব। এমন মানবিক কথা বলছেন পাটুরিয়া ঘাটে অপেক্ষারত আছমার বেগম।

রবিবার (৯ মে) সকাল থেকে মানিকগঞ্জের তিনটি প্রবেশমুখে পয়েন্টে বিজিবি মেতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বাড়বাড়িয়া এলাকা, সিংগাইর-হেমায়েতপুর সড়কের ধল্লা এলাকা এবং সর্বশেষ আরিচা-পাটুরিয়া এলাকার মহাদেবপুরে বিজিবির একাধিক ইউনিট দায়িত্বে রয়েছে। বিজিবি সকল প্রকার যানবাহন চেক করে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীরা তখন পায়ে হেটে চেকপোষ্ট পার হয়ে অন্য কোন যানে ঘাট মুখী হচ্ছে। রিক্সা,

ভ্যান এবং মোটরসাইকেল যোগে ঘাটের দিকে পার হচ্ছে। গতকালের চেয়ে সড়কে যাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে যাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পরে।সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাট এলাকার চার নং ফেরী ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা ফেরীর জন্য অপেক্ষা করছে। তবে আসছে না নির্দিষ্ট সময়ে ফেরী এদিকে যাত্রীদেরও সমাগম বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধির দিকে সেই অর্থে অনেকেরই নজর নেই, মাস্ক পাড়তেও দেখা যায়নি অনেককেই। দীর্ঘ সময় পর ৪নং ঘাটে একটি ফেরী ভিড়লে জনতা উৎসুক হয়ে পরে। শুরু হয়ে যায় তোরজোর কার আগে কে উঠবে। ফেরীতে থাকা গাড়ীগুলো নামতে নামতেই যাত্রীরা শ্রতের মত ফেরীতে উঠে পরে। অল্প সময়ের ভিতরেই ফেরী লোকে লোকারন্ন হয়ে পরে।

এ বিষয়ে, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, দু একটা ফেরী জরুরী সেবা দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা ঘাটে ফেরী ভিড় করলেই উঠে পরছে। ঘাটে ফেরী ভেড়া মাত্রই যাত্রীদের আর থামানো যায়না।

রবিবার সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌ রুটের ফেরী চলাচল বন্ধ। ফেরী চলাচল বন্ধ ছিল গতকালও। তবে জরুরী ভিত্তিতে নৌ মন্ত্রণালয়ের দিনের বেলা ফেরী বন্ধের এই সিদ্ধান্তে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় হাজার-হাজার মানুষ এসে পাড়ের জন্য ঘাটগুলোতে ভীড় করে। তবে রাতের বেলায় বিশেষ বিবেচনায় ঘাটে এসে ভীড় করা সাধারণ যাত্রীদের পারাপার করেছে বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ। ফেরী বন্ধ থাকলেও জরুরী বিবেনায় মাঝে মধ্যেই পার হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্সসহ ফেরী, বাকি যায়গায় স্থান করে নিচ্ছে পণ্যবাহী ছোট-বড় ট্রাক।