স্বামীর জন্য কাঁদে না মন: নুরা পাগলা

প্যান্ট টানতে টানতে নুরা পাগলা বলল, আইচ্ছা ভাই একখান কতা কন দেহি। হেইদিন যে মামুনুল হককে বেডারা এত অপমান অপদস্ত করল তয় হের বউদি কিছুই কইল না। হুদা খাড়াইয়া রইল। পরে হুনলাম বাতরুমো পলাইছে। এরম একটা জামাই পাইয়া এ বেডি তো ভাগ্যবতি। যেই মাইনষের এত নাম দাম, এত সরমান হেই তেনির বউয়ের পরিচয় লইয়া এত টানাটানি করল তয় বেডি দি কোনো কতাই কইল না। এরম বউ আল্লায় যেন কারো কপালে না জুডায়। তয় আমনে কন তো তাইনের বউয়ের নাম কি?

লাইভে তো মামুনুল হক সাহেব বলল, তার নাম আমেনা তৈয়্যেবা। শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম, বাড়ি খুলনা।প্যান্ট টানতে টানতে এবার নুরা পাগলা বলল, তয় তো ঠিকই আছে। এই বেডি তো তাইনের বউ না। বউ অইলে তো স্বামীরে বাঁচাইতে ঝাঁপাইয়া পড়তো।তুই কেমনে বুঝলি এ মহিলা তার বউ না। নুরা পাগলাকে জিজ্ঞেস করলাম।হাসতে হাসতে নুরা পাগলার উত্তর, আরে মিয়া আমনেরাই দুনিয়ার হগল খবর রাহেন। আমরা কিছুই রাহি না মনে করছেন। যেই বেডিরে লইয়া হোনারগাঁও আইছে হেই বেডির নাম তো, জান্নাত আরা ঝর্ণা। বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। বাপের নাম ওলিয়র রহমান।তাহলে মামুনুল হক সাহেব মিথ্যে বলেছেন, জানতে চাইলাম।

নুরা পাগলা হেচকা টানে প্যান্টা ওপরে তুলে বলল, না তেনি মাওলানা মানুষ মিছা কইবো কেন? আর কইলে তো মিছারে হাছা বানানের লইগা বার বার আল্লাহ খোদার কসম খাইব। যেই মহিলা হক সাবের বউ তেনি হের নামই কইছে। আমিনা তৈয়্যেবা তো বাড়িতে। হোনারগাঁওয়ে হোডেলের রেজিস্টারে আছে লগে নাই তয় স্বামীরে বাঁচাইতে আইবো কেমনে।তো ওই মহিলা কি নিজের সত্যিকারের পরিচয় দিয়ে খারাপ কিছু করছে।

একদম না। ওই মহিলা নিজের অধিকার প্রতিসটার লইগা অনেক দিনের পাপ মোচনের এরহম সুযোগটাই খুঁজছিল। নিজের সুখের সংসার ছাইরা এমন জীবন কার ভালা লাগে। কাজ তো অইছে। এহন এই বেডি তেনির বউ এইডা গলা ফাডাইয়া দুনিয়ার সামনে কইতাছে। মাগার কেউ বিশ্বাস করতাছে না। এইডাইতো বেডির স্বার্থকতা। প্যান্ট টানতে টানতে নুরার সাবলীল জবাব।তো তোমাদের সমস্যা কোথায় নুরার কাছে প্রশ্ন।

নুরা পাগলা প্যান্ট টানতে টানতে কইল, আরে মিয়া সমস্যা আমার না, সমস্যা হক সাবের। স্ত্রীর অধিকার পাওয়ার আশায় ওই বেডি তো তার আসল পরিচয় দিছে। তেনি যদি হক সাবের কতার লগে তাইল মিলাইয়া কইতো হের নাম আমিনা তৈয়্যেবা, তয় তো পানি এতদূর গড়ায় না। হগল পেজগি লাগাইছে তো ওই মহিলায়।তাতে কি? মামুনুল হক সাহেব তো ফেসবুকে লাইভে এসে তো আল্লাহর কসম খেয়ে বলেছে, এই নারী শরিয়ত মোতাবেক তাঁর বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী।

এই কতাটা হোটেলের খাতায় কইতে পারল না। লাইভে আইসা কইতে অইব ক্যান। এহন কন এইডা যদি হক সাবের বিবাহিত স্ত্রী অয় তয় এই মহিলায় লাইভে আইসা একবারও কইল না কেন, হক সাব আমার বিবাহিত বৈধ স্বামী। হেফাজতের কাছে কেন কইলো না আমি আমার স্বামীর অপমানের বিচার চাই? কেন এই মহিলার বাপ-মায় জানে না হের দ্বিতীয় বিয়া অইছে। কেন হক সাবের প্রথম স্ত্রীরে ফোন দিয়া কইলো তার লগের মহিলা শহিদুল ভাইয়ের ওয়াইফ। কেন কইল পরিস্থিতির কারণে আরো কইতে অইতে পারে তয় হক সাবের স্ত্রী যেন কিছু মনে না করে। কেন হক সাব কইতে পারে না, কবে, কোন জায়গায়, কোন মসজিদে, কোন ইমাম সাব হের বিয়া পড়াইছে। কেন হেফাজতের কোনো নেতা বড় গলায় কইতে পারে না হেগো বিয়া আমরা নিজেরা দিছি। কেন বিয়ার প্রমাণ না দিয়া হোডেল ভাইঙ্গা হেরে আনতে অইলো। দুই বছর পর কেন তেনি মানবিক বিয়ার গল্প কইলেন। এমন কিছু করলে তো তেনি ওয়াজে গলা ফাডাইয়া কইতেন দেহো আমি অসহায় নারীরে কি মর্যাদা দিছি। নারীর প্রতি তোমরা মানবিক অও। এহন আমার প্রশ্নের জবাব দেন?

তার এতগুলো প্রশ্ন শুনে আমি একটার জবাব দিতে না পারায় প্যান্ট টানতে টানতে নুরা পাগলায় কইলো ইসলাম ধর্মেরে আর বেইজ্জতি কইরেন না। মুসলমানের ঈমান নিয়া আর ছেলেখেলা কইরেন না। জবাব চাইলেই নুরা পাগলায় নাস্তিক কইয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে আমার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করবেন। যেই মুক দিয়া ধর্মের বানী কইবেন হেইমুক দিয়া মানুষরে অসভ্যের মতো গালাগালি করেন বলতে বলতে নুরা পাগলায় সামনের দিকে চলে গেল।