বিমানবন্দরে হারিয়ে যাওয়া দুবাই প্রবাসীর সাড়ে ১১ লাখ টাকার সোনা ১৩ দিন পর উদ্ধার

দুবাই প্রবাসী মেহেদী হাসানের ২৩২ গ্রাম সোনার বার খোয়া যায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।প্রবাসী মেহেদী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন।১৩ দিন পর সোমবার (৫ এপ্রিল) ফেনী থেকে সোনার দুটি বার উদ্ধার করে মেহেদী হাসানের কাছে তুলে দেয় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।

জানা গেছে, ২৩ মার্চ সকালে দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন মেহেদী হাসান।ইমিগ্রেশন শেষ করে বেল্ট থেকে ব্যাগ নিয়ে কাস্টমস জোনে যান তিনি।সে সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করে।মেহেদী কাস্টমস কমকর্তাদের জানান তার কাছে দুটি সোনার বার আছে এবং তিনি শুল্ক দিবেন।

এরপর সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করেন মেহেদী। গ্রীন জোন থেকে বের হয়ে যাবার সময় এক কাস্টমস কর্মকর্তা মেহেদীকে আবারও তল্লাশি করতে ডাকেন।মেহেদী জানান তিনি সোনার বার এনেছেন এবং শুল্ক দিয়েছেন।তাকে সোনার বার দুটি স্ক্যানারে দিতে বলা হয় এবং তাকেও বডি স্ক্যানারের ভেতর দিতে যেতে বলা হয়।কাস্টমস কর্মকর্তাদের তল্লাশি শেষে গ্রীন জোন থেকে বের হয়ে আসেন মেহেদী।

এরপর বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন থেকে বের হয়ে গাড়ি পার্কিং এরিয়ায় যাওয়ার পর মেহেদী টের পান তিনি সঙ্গে করে দুটি সোনার বার আনেনি, যা তিনি কাস্টমসের স্ক্যানার মেশিনে দিয়েছিলেন।সাথে সাথে তিনি কাস্টমস জোনে গেলেও সোনার বার আর ফেরত পেলেন না। বিমানবন্দরে এক যাত্রী মেহেদীকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন।কাস্টমস জোন থেকে আর্মড পুলিশের অফিসে আসলেন মেহেদী।তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিল আর্মড পুলিশ।মেহেদীকে আশ্বাস দেওয়া হলো উদ্ধার হবে সোনার বার।

১২ দিন পর মেহেদীকে ফোন করলো বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।সোনার বার দুটি উদ্ধার করার পর তাকে নিয়ে যেতে বলা হয়।৫ এপ্রিল ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে বার দুটি ফেরত নিয়ে যায় মেহেদী।মেহেদী বলেন, আমি আসলে দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম।আমি বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ, তাদের আন্তরিকতার কারণে বার দুটি ফেরত পেলাম।

বার দুটি উদ্ধার প্রসঙ্গে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, তার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু করি। কাস্টমসের স্ক্যানার মেশিন থেকে ব্যাগ নিচ্ছেন যাত্রীরা। কয়েকজনের মধ্যেই একজন ট্রে তে রাখা দুটি বার নিয়ে যান।কিন্তু কে সে যাত্রী? সেটি সনাক্ত করতে আমাদের সময়ও লাগে কিছুটা।

বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নেই আমরা। তারপর একজন যাত্রীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই।যিনি একই দিনই দুবাই থেকে এসেছেন।সেই যাত্রী স্ক্যানার মেশিনে দুটি সোনার বার দেখতে পান, আর তা নিজের পকেটে নিয়ে নেন।সেই যাত্রী কোন গাড়িতে গেলেন, তার পাসপোর্টসহ বিভিন্ন তথ্য আমরা সংগ্রহ করি।পরে জানতে পারি সেই যাত্রী বার দুটি নিয়ে ফেনীতে নিজের গ্রামের বাড়িতে গেছেন। তারপর সেই যাত্রীর কাছ থেকে বার দুটি উদ্ধার করে মেহেদীকে ফেরত দেওয়া হয়।